গৌরনদীতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে গৌরনদী প্রশাসন গত বুধবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রস্তুতি সভা করে উদযাপন কমিটি গঠন করেন। এ কমিটিতে সক্রিয় প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধাদের না রাখা, মৃতব্যক্তিকে কমিটিতে রাখাও একই ব্যক্তিদের বার বার বিভিন্ন উপ-কমিটিতে রাখায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা, নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উদযাপন কমিটি গঠন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভার রেজুলেশনে দেখা গেছে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে মূল উদযাপন কমিটিতে একটি বিশাল কমিটি গঠন করা হয়। গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়নে ১১টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সংবর্ধনা দিতে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট উপ-কমিটি গঠন করা হয়। তার মধ্যে মৃত এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাখা হলেও ৭১,র ২৫ এপ্রিল গৌরনদীতে পাক হানাদারদের সঙ্গে প্রথম সম্মুখ যোদ্ধাদের কাউকে রাখা হয়নি। একই কমটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাত হোসেন রাসুকে রাখা হয়েছে। একাধিক মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করে বলেন, আমরা এখনো ৫শত মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে আছি। উদযাপন কমিটিতে আমরা জীবিতরা স্থান না পেলেও কমিটিতে মৃত বীল মুক্তিযোদ্ধাকে রাখা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত তালিকায় ইসমাত হোসেন রাসুর নাম কোথায়ও নাই এবং সে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোন ভাতা গ্রহন করেন না। অথচ তাকে তিনটি উপ-কমিটিতে রাখা হয়েছে। রাসুর নাম লাল বই এবং ভারতীয় তালিকায় নাই। বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই চক্রবর্তি এক তালিকার অর্ন্তভূক্ত অথচ তাকে চারটি উপ-কমিটিতে রাখা হয়েছে। যা দেখে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির কোন অস্তিত্ব নাই কিন্তু সেখানে বাটাজোর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির নামে উৎপল চক্রবর্তিকে দুইটি উপ-কমিটিতে রাখা হয়েছে। আমাদের এক সহযোদ্ধা অসুস্থ্য হয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন তাকে উদযাপন কমিটির সদ¯্র করা হয়েছে। ৭১,র ২৫ এপ্রিল গৌরনদীতে পাক হানাদারদের সঙ্গে কটকস্থলের প্রথম সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেওয়া একাধিক মুক্তিযোদ্ধা খ্সেঅভ প্রকাশ করে বলেন, উদযাপন কমিটিতে প্রশাসনের পছন্দনীয় ও বিতর্কিত একই ব্যক্তিদের এক একজনকে ৩/৪ টি কমিটিতে রাখা হয় আমাদের কোথায়ও রাথা হয় না। স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছি আর সেই দিনটি উদযাপন কমিটিতে আমরা সদস্য থাকবো না বড়ই লজ্জার। ভবিষ্যাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা প্রশাসনের আয়োজন প্রত্যাখান করবো।